Breaking News

পবিত্র শব-ই-বরাতের সর্ম্পকে নিজে জানুন, অন্যকে জানান.....(২)

হাদিস শরিফে বর্নিত আছে ‘যে ব্যাক্তি এবাদতের উদ্দেশ্যে পাচঁটি রাত্র জাগ্রত থাকবে তাহার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হইয়া যাইবে, সেই রাত্র গুলো হল-যিলহজ্জের আট,নয়, ও দশ তারিখের রাত্র,ঈদুল ফিতরের রাত্র ও পনরই শাবানের রাত্র’
হাদিস শরীফে আছে “ শা’বানের চাঁদের ১৫ ই রাত্র(১৪ ই দিবাগত রাত্র) সারা বতসরের হায়াত ,মউত, রিযিক ও দৌলত লিখা হয় এবং ঐ রাত্রে বান্দাগনের আমল খোদার দরবারে পেশ করা হয়”। হযরত নবীয়ে করীম (সঃ) স্বীয় উম্মতগনকে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন “ শা’বানের ১৫ই রাত্রে তোমরা জাগরিত থাকিয়া আল্লাহ পাক এর ইবাদত বন্দেগী করিও এবং দিনের বেলা রোজা রাখিও”। কেননা ঐ রাত্রিতে বান্দাগনের প্রতি আল্লাহ পাক এর খাছ রহমত এর দৃষ্টি হয়। এমনকি, আল্লাহ পাক সূর্যাঁস্তের পর হইতে ছোবকে ছাদেক পর্যন্ত দুনিয়ার আকাশে আসিয়া দুনিয়াবাসীর জন্য ঘোষনা করিতে থাকেন যে “তোমাদের মধ্যে যাহার গোনাহ মাফ করাইয়া লওয়ার দরকার থাকে মাফ চাহিয়া লও, আমি মাফ করিবার জন্য প্রস্তত আছি”। হায়! রাহমানুর রাহিম আহকামুল হাকেমীনের পক্ষ হইতে এমন সূবর্ন সুযোগ যাহারা হেলায় হারায় বরং আতসবাজী, বিবাদ ইত্যাদি করিয়া যাহারা পাপের আগুন ঝরায় তাহাদের চেয়ে হতভাগা বদনছীব আর কে?? ইসলামে সকল প্রকার বেদাতী কাজ করার বেপারে কঠোর নিষেধ করা হয়েছে।
এক হাদিসে আছে, শবে বরাতের রাত্রিতে আল্লাহ পাক মালাকুল-মউতকে এই বতসর মৃত্যু বরনকারীদের সম্পর্কে জানাইয়া দেন।
শবে বরাতের রাত্র অতীব গুরুত্বপুর্ন একটি রাত্র।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এই রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক এর এবাদত বন্দেগী করার তাওফীক দান করুন।