Breaking News

পবিত্র শব-ই-বরাত সর্ম্পকে নিজে জানুন, অন্যকে জানান.....(১)

“শব” অর্থ রাত্রি এবং “বরাত” অর্থ ভাগ্য। তাই শবে বরাতের পূর্নাঙ্গ অর্থ “ভাগ্যের রজনী”। শা‘বান মাসের ১৫ তারিখের রাতকে শবে বরাতের রাত বলা হয়। এটি খুবই মর্তবার্পূন একটি রাত।
এ রাতের ফযীলতঃ-
** হাদীসে আছে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেন:- যারা এই রাতে ইবাদত বন্দেগী করিবে অর্থাৎ নফল নামাজ, পবিত্র কুরআন তেলওয়াত, যিকির-আযকার ইত্যাদি করিবে- আল্লাহ পাক নিজ রহমতে তাহাদের শরীরের জন্য জাহান্নাম হারাম করিয়া দিবেন।
** হযরত আবু বকর(রাঃ) হতে বর্নিত হযরত রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন:- তোমরা শা‘বান মাসের ১৫ তারিখের রাতে জাগরিত থেকে এবাদতে মগ্ন হও। যেহেতু ঐ রাতটি বরকতময় ও ফযীলতর্পূন। ঐ রাতে আল্লাহ্ তা-আলা ডেকে বলেন:- “ তোমাদের মধ্যে কেউ ক্ষমা প্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব”।
**অন্য এক হাদীসে বর্নিত আছে, হযরত রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন:- শবে বরাতের রাতে এবাদতের নিয়্যতে সন্ধ্যার পরে যে ব্যক্তি ভালভাবে গোসল করবে, তার গোসলের পানির প্রত্যেকটি ফোটার পরির্বতে ৭০০ রাক‘আত নামাযের সমান ছওয়াব লাভ হবে।
শবে বরাতের নামাযঃ-
শবে বরাতের রাতে এশার নামাযের পর থেকে সুবেহ্ সাদিক অর্থাৎ ফজর পর্যন্ত নফল নামায ও বিভিন্ন এবাদত পবিত্র কুরআন পাঠ, যিকির-আযকার, তসবিহ-তাহলীল করা যায়। এই রাতে কমপক্ষে ২ রাকাত করে ১২ রাকাত নফল নামায ও ৪ রাকাত ছালাতুত্ তাছবীহ্ নামায পড়া অতি উত্তম।

নামাযের নিয়ত আরবীতে:-
“নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।
বাংলায় নিয়ত:- “ আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দু‘রাক‘আত নফল নামায আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।
শবে বরাতের নামায দু‘রাকাত করে যত বেশী পড়া যায় তত বেশী ছওয়াব। নামাযের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ।
আসুন আজ এই পবিত্র রাতে আমরা বেশী বেশী করে নফল নামায় পড়ি।